লাকড়ির ম্যাজিক চুলা, স্বল্প জ্বালানি খরচে ধোঁয়া মুক্ত লাকড়ির চুলা

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় ভিজিটর, আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ন! কেননা আজকে এমন একটি ম্যাজিক চুলা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি যা ব্যবহারে আপনি অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে বাসায় রান্না করতে পারবেন।

ম্যাজিক চুলা, কম খরচে রান্নার উপায়, গ্যাসের বিকল্প চুলা

এই লাকড়ির চুলা ব্যবহারে আপনার লাকড়ি আগের তুলনায় অনেক কম খরচ হবে। যেই সকল ভাইদের খাবারের হোটেল কিংবা যারা মাদ্রাসার জন্য লাকড়িতে বা গ্যাসে প্রতিনীয়ত রান্না করছেন। বা অধিক পরিমাণে রান্নার কাজে গ্যাস ব্যবহার করে আসছেন। আপনারা এই চুলার যদি ব্যবহার করেন তাহলে আগের তুলনায় প্রায় ৭০% লাকড়ি কম খরচ হবে। 

গ্যাসের বিকল্প চুলা, লাকড়ির চুলা

এই চুলাতে কোন প্রকার গ্যাস প্রয়োজন হয়না। যেহুতু এটা একটি লাকড়ির চুলা তাই অবশ্যই এই চুলা ব্যবহারের জন্য লাকড়ির প্রয়োজন হবে। তবে আপনি সাধারন বাসায় যেই পরিমানে লাকড়ি ব্যবহার করেন তার থেকে প্রায় অর্ধেকের ও কম লাকড়ি খরচ হবে এই চুলা ব্যবহার করলে। এই চুলার বিশেষ একটি গুন হচ্ছে এই চুলা ব্যবহারে কোন প্রকার ধোয়া হবেনা। সুতরাং ধোয়া বিহীন লাকড়ির চুলা। 

ধোয়া বিহীন লাকড়ির চুলা

যেহুতু এটা ধোয়া বিহীন সুতরাং এটা যে কোন রান্নার স্থানে ব্যবহার উপোযোগী একটু চুলা। লাকড়ির চুলা 

লাকড়ির চুলার ব্যবহার

এই চুলা ব্যবহারের জন্য আপনার প্রয়োজন পরবে অবশ্যই লাকড়ি এবং চুলার মধ্যে আগুন ধরানোর জন্য বিশেষ একটি “ফ্লেম জেল” প্রয়োজন হবে। যেই এলাকায় ফ্লেম জেলটা পাবেন না। তারা এই প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি পরিমাণে সংগ্রহ করতে পারেন অথবা এই “ফ্লেম জেল” এর বিপরীতে ডিজেল বা কেরোসিন তেল ব্যবহার করতে পারেন। 

ডিজেল, কেরোসিন বা ফ্লেম জেল এটা শুধু আপনার প্রাথমিক বা শুরু আগুনটা জেনো সহজে ধরে যায় এর জন্য ব্যবহৃত হবে এছাড়া আপনারা চাইলে পলিথিন বা অন্য কোন কিছু ব্যবহার করতে পারেন। তবে ফ্লেম জেল বা ডিজেল কেরোসিনে দ্রুত আগুন ধরবে আপনার লাকড়ি গুলোতে।

এছাড়া এই চুলাটা ব্যবহারের জন্য DC 12v অ্যাডেপ্টার বা ব্যাটারির প্রয়োজন হবে। আপনি চাইলে ব্যাটারির মাধ্যমে চালাতে পারবেন এছাড়া এখান থেকে চুলার সাথে এ্যাডাপ্টার দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন পরে চুলাটাতে হিট নিয়ন্ত্রন করার জন্য।

লাকড়ির চুলা, ধোয়া বিহীন লাকড়ির চুলা, হোটেল মাদ্রাসার চুলা, হোটেলের চুলা, চুলার ফ্যাক্টরি, চুলার কারখানা, চুলা কিভাবে তৈরি করা হয়, ম্যাজিক চুলা, গ্যাসের বিকল্প চুলা

আপনার চাইলে এই চুলাগুলো বাসা বাড়িতে ব্যবহারের জন্য কিনতে পারেন অথবা যার ডিলার বা রিসেলার নিতে চান ব্যবসা করার জন্য তাদেরও সুযোগ রয়েছে।

ডিলার নিতে বা চুলা ব্যবহারের জন্য ক্রয় করতে নিচের নাম্বার গুলোতে সরাসরি কল করে যোগাযোগ করুন

চুলার ব্যবহার সম্পর্কিত কিছু তথ্য:

  • বুয়েট থেকে পরিক্ষীত ও সরকারের জ্বালানি ও পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক সংস্থা IDCOL অনুমোদিত।

  • তিন বছরের ওয়ারেন্টি।

  • শক্ত কাঠের টুকরা জ্বালানির জন্য সবচেয়ে উপযোগী।

  • ৫০০/৬০০ গ্রাম লাকড়ি দিয়ে ১ ঘন্টার বেশি ফুল স্পিডে রান্না করা যাবে ইনশাল্লাহ ।অর্থাৎ মাত্র ১২/১৩ টাকার জ্বালানি খরচে সারাদিনের রান্না শেষ হয়ে যায়।

  • চুলার সাথে একটি ছোট ফ্যান সেটিং করা আছে যেটা ৩.৭ ভোল্টের রিচার্জেবল পেন্সিল ব্যাটারি দিয়ে ব্যবহার করা হয়। ফ্যানের বাতাস চুলার ভিতরে অক্সিজেন তৈরি করে এবং সম্পূর্ণ কাঠকে জ্বালিয়ে ছাইয়ে রূপান্তরিত করে ফলে স্বাভাবিক চুলা থেকে দীর্ঘ সময় আগুন জ্বলতে সহায়তা করে, আগুনের তাপমাত্রা বেশি থাকে যার কারনে রান্না খুব দ্রুত হয়। বিদ্যুৎ বিল মাসিক সর্বোচ্চ ২০/৩০ টাকা।

  • বিদ্যুত না থাকলে রিচার্জেবল পেন্সিল ব্যাটারি, পাওয়ার ব্যাংক অথবা সোলার এর সাহায্যে ফ্যান চালানো যাবে । অফার চলাকালীন সময়ে রিচার্জেবল পেন্সিল ব্যাটারি গিফট দিয়ে দেয়া হবে।

  • প্রথমে চুলার উপর দিয়ে লাকড়ি ব্যবহার করে আগুন জ্বালিয়ে নিতে হবে। এরপর রান্না অবস্থায় পাতিলের নিচে দিয়ে এক/ দুই টুকরো লাকড়ি দিয়ে দিতে পারবেন। ১০/১৫ মিনিট পরপর লাকড়ি দিতে হয়।

  • যেহেতু ধোঁয়া হয়না তাই বাসায় কালি হবেনা কিন্তু পাতিলে সামান্য কালি হবে তবে তাতে তেমন কোন সমস্যা নাই। রান্না শেষে কাপড় দিয়ে মুছে ফেলা যায়। এটা তেলতেলে কালি নয়, লেগে থাকেনা।

  • স্টিলের তৈরী ফলে টেকসই ও সহজে বহনযোগ্য ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *